বাক্যের শ্রেণিবিভাগ, বাংলা ২য় পত্র বাংলা ব্যাকরণ | Bangla 2nd Paper | Bangla


স্বরভঙ্গি ও বাগভঙ্গি

১. অ-নে-ক, অ-নে-ক দিন আগে বাংলাদেশে বিজয় সিংহ নামে খুব সাহসী এক রাজপুত্র ছিলেন।

২. প্রকৃতি কী সুন্দর সাজেই না সেজেছে!

৩. তাজ্জব ব্যাপার!

৪. দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?

৫. ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে।’

৬. ‘দীর্ঘজীবী হও।’

৭. ‘সবারে বাস রে ভালো।’

৮. উছে বস।

ওপরের প্রথম বাক্যটি বিবৃতিমূলক; ‍দ্বিতীয় ও তৃতীয় বাক্য দুটি বিস্ময়সূচক; চতুর্থ বাক্যটি প্রশ্নসূচক; পঞ্চম বাক্যটি প্রার্থনামূলক; ষষ্ঠ বাক্যটি আর্শীবাদবোধক; সপ্তম বাক্যটি অনুরোধমূলক; অষ্টম বাক্যটি আদেশসূচক।

হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আবেগ-উচ্ছ্বাস, অনু্রোধ-প্রার্থনা, আদেশ-মিনতি, শাসন-তিরস্কার কন্ঠস্বরের নানা ভঙ্গিতে ‍উচ্চারনের মধ্যে প্রকাশিত হয়।


 বাক্যের শ্রেণিবিভাগ



বিশেষ জোর ‍দিয়ে কথা বলা, কন্ঠস্বরের ওঠা-নামা, কাঁপন, টেনে টেনে শব্দ উচ্চারণ ইত্যাদির দ্বারা বাক্যের বিশেষ বিশেষ অর্থ ও ভাব প্রকাশ করা সম্ভব। বিভিন্ন ভঙ্গিতে কন্ঠধ্বনি উচ্চারণের ফলে যে ধ্বনি-তরঙ্গ সৃষ্টি হয়, তা নানা প্রকার ভাব ও অর্থ সৃষ্টি করে। এই ধ্বনি-তরঙ্গ বা স্বরতরঙ্গকে স্বরভঙ্গি বলে। এই স্বরভঙ্গিই বাগভঙ্গির ভিত্তি।

 
স্বরভঙ্গির দ্বারা যে শব্দ ও বাক্য সৃষ্ট ও উচ্চারিত হয়, তাকে লিখিত আকারে এবং উচ্চারিত অবস্থায় বাগভঙ্গি বলা যেতে পারে।

বাক্য নিম্ন লিখিত কয়েকটি শ্রেনিতে ভিবক্ত হতে পারেঃ-

১. বিবৃতিমূলক বাক্যঃ সাধারণভাবে হ্যাঁ বাচক বাক্য। বিবৃতিমূলক বাক্য দুই প্রকার হতে পারে, হ্যাঁ বাচক বাক্য এবং না বাচক বাক্য।

উদাহরণ-
হ্যাঁ বাচক বাক্যঃ- সে ঢাকা যাবে। আমি বলতে চাই।
না বাচক বাক্যঃ- সে ঢাকা যাবে না। আমি বলতে চাই না।

২. প্রশ্নসূচক বাক্যঃ এ ধরনের বাক্যে প্রশ্ন জিঙ্গেস করা হয়। যথাঃ- কোথায় যাচ্ছ, কী পড়ছ, যাবে না কি

৩. বিস্ময়সূচক বাক্যঃ যে বাক্যে আশ্চর্যজনক কিছু বোঝায় তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলে। যথাঃ- তাজ্জব ব্যাপার! সমুদ্রের সে কী ভীষণ গর্জন! আমি তো ভয়ে মরি!

৪. ইচ্ছাসূচক বাক্যঃ এ ধরণের বাক্যে শুভজনক প্রার্থনা, আশিস, আকাঙ্কা করা, হয়। যথাঃ-তোমার মঙ্গল হোক। ঈশ্বর তোমাকে জয়ী করুন। পরীক্ষায় সফল হও।

৫. আদেশ বাচক বাক্যঃ এ ধরণের বাক্যে আদেশ করা হয়। যথাঃ- শিক্ষক মহোদয়  শ্রেণিকক্ষে এলে উঠে দাঁড়াবে। চুপটি করে বস।

স্বরভঙ্গি তথা বাগভঙ্গির সাহায্যে ক্রোধ, আদর, আনন্দ, দুঃখ, বিরক্ত, বিস্ময়, লজ্জা, ঘৃণা প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার অনুভূতি প্রকাশ করা যায়। যথাঃ-

১. সাধারণ বিবৃতিতেঃ সে আজ যাবে।

২. জিজ্ঞাসায়ঃ সে আজ যাবে

৩. বিস্ময় প্রকাশেঃ সে আজ যাবে!

৪. ক্রোধ প্রকাশেঃ আমি তোমাকে দেখে নেব।

৫. আদর বোঝাতেঃ বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।

৬. আনন্দ প্রকাশেঃ বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে!

৭. দুঃখ প্রকাশেঃ আহা, গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙেছে!

৮. ভীতি প্রদর্শনেঃ যাবি কি না বল

৯. বিরক্তি প্রকাশেঃ আঃ, ভালে লাগছে না, এখন এখান থেকে যাও তো।

১০. ধিক্কার দিতেঃ ছিঃ তোমার এই কাজ!

১১. লজ্জা প্রকাশেঃ ছিঃ ছিঃ তার সঙ্গে পারলে না।

১২. ঘৃণা প্রকাশেঃ তুমি এত নীচ!

১৩. অনুরোধ প্রকাশেঃ কাজটি করে দাও না ভাই।

১৪. প্রার্থনাঃ ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুক।

ছেদ ও বিরতিসূচক চিহ্নগুলো বাগভঙ্গির লিখিত আকারে সাহায্য করে। দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নবোধক ও বিস্ময়সূচক চিহ্ন বাক্যের ভাব ও অর্থবোধের জন্য উপকারক।


ধন্যবাদ
ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে সেয়ার করুন।


আরো পড়ুনঃ- 

বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডার, বাংলা ২য় পত্র

বাংলা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয়

ভাষা, বাংলা ২য় পত্র
বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ




সাদৃশ্যপূর্ণঃ- বাংলা ২য় পত্র, বাক্যর অর্থগত শ্রেণিবিভাগ, বাক্যের গঠন অনুসারে শ্রেণিবিভাগ, বাক্যের গঠন, অনুঙ্গাবাচক বাক্য, বাক্যের উদাহরণ, বাক্যের উপাদান, সরল বাক্য উদাহরণ, গঠন অনুসারে, বাক্যতত্ত্ব, বাক্যের শ্রেণিবিভাগ, গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ, অর্থঅনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ,বাক্য, শ্রেণিবিভাগ, বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ধ্বনিজ্ঞাপক দ্বিরুক্ত শব্দ কোনটি, বাক্য কত প্রকার কি কি, সরল বাক্য উদাহরণ, বাক্য গঠন করো, অনুজ্ঞাবাচক বাক্য, উদ্দেশ্য ও বিধেয় অনুশীলনী, বাক্য কাকে বলে, বাক্য রূপান্তর কর, বিবৃতিমূলক বাক্য কাকে বলে, বাক্য কত প্রকার ও কি কি, বাক্যের অর্থগত শ্রেণীবিভাগ, সার্থক বাক্যের গুনাবলি, নির্দেশক বাক্য কাকে বলে, বাক্য পরিবর্তন, জটিল বাক্য উদাহরণ, অনুজ্ঞাসূচক বাক্য, আজ চাঁদ উঠেছে নেতিবাচক, বাক্য গঠন করো, অনুজ্ঞাবাচক বাক্য, বিবৃতিমূলক বাক্য কাকে বলে, নির্দেশক বাক্য কাকে বলে, Rakib’s Learning School, 10 minutes school, Digital Book, bangla, bangla 2nd paper. Class 9-10, বিসিএস, বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি, বিসিএস পরীক্ষা। বাক্যের শ্রেণিবিভাগ, বাংলা ২য় পত্র।







No comments

Powered by Blogger.