ভাষা, বাংলা ২য় পত্র

ভাষার সংজ্ঞাঃ- মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য কন্ঠধ্বনি এবং হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্যে ইঙ্গিত করে থাকে৤ কন্ঠধ্বনির সাহায্যে মানুষ যত বেশি পরিমান মনোভাব প্রকাশ করতে পারে, ইঙ্গিতের সাহায্যে তা পারে না৤ আর কন্ঠধ্বনির সহায়তায় মানুষ মনের সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ ভাবও প্রকাশ করতে সমর্থ হয়৤ কন্ঠধ্বনি বলতে মুখগহ্বর, কন্ঠ, নাক,কান ইত্যাদির সাহায্যে উচ্চারিত বোধগম্য ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে বোঝায়৤ এই ধ্বনিই ভাষার মূল উপাদান৤ আর ধ্বনির সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা৤ গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিব্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদি বাক প্রতঙ্গকে এক কথায় বলে বাগযন্ত্র৤ এই বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে৤ মানুুষের কন্ঠনিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলা হয়৤ দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে৤ বর্তমানে পৃথিবীতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ভাষা প্রচলিত আছে৤ বর্তমানে প্রথিবীতে প্রায় ত্রিশ কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা৤
ভাষা, বাংলা ২য় পত্র
ব্যাকরন, ভাষা
সাধু ও চলিত রীতির পাথ্যর্ক

১. সাধু রীতি
ক) বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস ‍সুনিয়ন্ত্রিত ও ‍সুনির্দিষ্ট৤
খ) এই রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল৤
গ) সাধু রীতি ‍নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী৤
ঘ) এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে৤

২. চলিত রীতি
ক) চলিত রীতি পরিবর্তনশীল৤ একশ বছর আগে যে চলিত রীতি সে যুগের শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথিত ভাষা বা মুখের বুলি হিসেবে প্রচলিত ছিল, কালের প্রবাহে বর্তমানে তা অনেকটা পরিবর্তন রূপ লাভ করেছে৤
খ)  এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল৤
গ) চলিত রীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য এবং বক্তৃতা,  আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য বেশি উপযোগী৤
ঘ) সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে৤ বহু বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও  এমনটি ঘটে৤

ধন্যবাদ 



6 comments:

Powered by Blogger.