আমলকি খাওয়ার উপকারিতা-আমলকির ভেষজ গুণাগুণ || Amalaki (Amla) Health Benefits

আমলকির পরিচিতি:

আমলকি: amalaki benefits hair, amalaki juice, amalaki powder for skin, amalaki Wikipedia, amalaki vitamin c, medicinal uses of amla plant in points, amla fruit in English, amla tree plantation, how to eat amla fruit, amla nutrition, amalaki benefits in Bengali, amalaki scientific name, amalaki research studies, nutrilite amalaki benefits, amloki gach, amlaki, amalaki Ayurveda, amalaki side effects, amalaki benefits, amalaki juice, amalaki benefits for skin, himalaya amalaki composition, আমলকি চুলে দেওয়ার নিয়ম, আমলকি চাষ পদ্ধতি, আমলকি সংরক্ষণ, আমলকির আচার, আমলকির ক্ষতিকর দিক, আমলকির গুন, আমলকির জুস, আমলকির উপকারিতা চুলের জন্য, আমলকি খেয়ে পানি খেলে মিষ্টি লাগে কেন, আমলকি খাওয়ার নিয়ম, আমলকির জুস বানানোর নিয়ম, আমলকির উপকারিতা ভিডিও, কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম, আমলকির অপকারিতা, আমলকি কিভাবে খেতে হয়, আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা, আমলকির আচার, আমলকির আচার রেসিপি, আমলকির পুষ্টিগুণ.ভেষজ, ভেষজ উদ্ভিদের গুরুত্ব, ভেষজ উদ্ভিদের উদ্দেশ্য, ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার, ভেষজ উদ্ভিদের গুনাগুন, ভেষজ উদ্ভিদ প্রকল্প, ভেষজ উদ্ভিদ, ভেষজ চিকিৎসা, ভেষজ চিকিৎসা বই, ভেষজ উদ্ভিদের গুনাগুন, ভেষজ ঔষধ, ভেষজ উদ্ভিদের উপকারিতা, ভেষজ গাছ, ভেষজ ওষুধ, ভেষজ অর্থ, ভেষজ চা.
আমলকি













আমলকি এমন একটি ফল যার মধ্যে রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফল থেকে শুরু করে পাতাও 

ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ভরপুর আমলকি।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও দশ গুণ বেশি 
ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলা লেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে 
১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
এই আমলকি বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে।
আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।


উপকারিতা --

ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। আমলকি ত্বক,
চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সাথে জড়িও
ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাকে আসিডের
ব্যালেন্স বজার রাখে।
আমলকি লিভার ভালো রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভালো হয়।
আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল
লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে। হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।

শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে। লোহিত রক্তকণিকার
 সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে। জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
আমলকির জুস দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও
ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী। পেটের জ্বালাভাব কম রাখে। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে,
পাইলস সমস্যা কমায়। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
ব্রঙ্কাইটেসও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী। আমলকি গুঁড়ার সাথে সামান্য মধু ও মাখন
মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন। খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে
আমলকি গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা কম রাখতে
সাহায্য করবে। আমলকিতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে
পারেন।

খাবারের সাথে আমলকির আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে। আমলকি মাঝারি আকারে
টুকরো করে নিয়ে ফুটনত্ম জলের মধ্যে দিন। আমলকি নরম হলে তা নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুঁচি,
 লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রেখে দিতে পারেন। সারা বছরই ভালো থাকবে।
এছাড়াও, প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়)-এর ক্ষত সারাতে
আমলকি কার্যকর। আমলকির ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ
নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি-রোগ।
আমলকি মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল-মাত্রা হ্রাস করতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে ডায়াবেটিক
ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকির রস রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে পারে
এবং লিভারের কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।

আমলকির গুণাগুণ--


আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি

প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার।
প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আমলকী কিংবা আমলকীর আচার।
খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়।

প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টির বেশি উপকারিতা ।

১) আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ
 উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে না, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

২) চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

৩) আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের
 গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৪) এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন
 এতে করে আপনার এ্যাসিডিটির সমস্যা কম হবে।

৫) আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম জাতীয় সমস্যা কেটে যাবে।
 খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।

৬) প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের
 উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৭) আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ,
 চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৮) আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের 
 সঙ্গে জড়িত ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৯) এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের/মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।

১০) আমলকীর টক ও তেতো, মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী
 গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।

১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।

১৩) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।

১৪) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।

১৫) এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা
 মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।

১৬) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

১৭) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

১৮) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল 
 ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।

১৯) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।

২০) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল 
 লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

২১। আমলকী হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক এ্যাসিডে ব্যালেন্স বজায় রাখে।

২২। আমলকী লিভার ভালো রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভালো হয়।

২৩। আমলকীর জুস দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
 ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।






No comments

Powered by Blogger.